শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
৬০ বছরে প্রেমের স্বীকৃতি, নতুন সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন চিকিৎসকরা, তবে চলবে ক্লাস বর্জন ফেসবুক লাইভে ধর্ষণের হুমকি, আইনি পদক্ষেপ নিলেন সিঁথি লাকি আক্তারের গ্রেপ্তারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তাল বিক্ষোভ, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম নন-এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলনে সাড়া দিল সরকার, এমপিওভুক্তির ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিল কানাডা স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫: মুক্তিযুদ্ধের নায়ক ওসমানীকে ছাড়াই চূড়ান্ত তালিকা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ চালু করল হটলাইন সেবা উত্তরায় নিজ বাসায় খুন হলেন হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রধান উপদেষ্টার সহকারী হিসেবে নিয়োগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ড. আনিসুজ্জামান

ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত জেলেনস্কির’—মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ২৫ Time View
Spread the love

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠক উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে রূপ নেয়। এ ঘটনায় জেলেনস্কির ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

‘জেলেনস্কির উচিত আমাদের সময় নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাওয়া’

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, “জেলেনস্কির উচিত এমন একটি বৈঠকের জন্য এবং আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাওয়া।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, জেলেনস্কি সত্যিই শান্তি চান কি না, বিশেষ করে আলোচনার ব্যর্থ সমাপ্তির পর।

ওভাল অফিসের বৈঠক ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলেও রুবিও বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি মনে করেন, মূল সমস্যার কারণ জেলেনস্কির আচরণ এবং তারই ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

‘ট্রাম্প হলে যুদ্ধ শুরুই হতো না’

রুবিও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই তার অবস্থান স্পষ্ট রেখেছেন—তিনি মনে করেন, এ যুদ্ধ কখনোই শুরু হওয়া উচিত ছিল না। যদি তিনি তখন প্রেসিডেন্ট থাকতেন, এটি ঘটতো না। এখন তিনি এ যুদ্ধ শেষ করতে চান। আমাদের লক্ষ্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা এবং জানতে চাওয়া, সত্যিই শান্তি সম্ভব কি না।”

আরও পড়ুন: ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠক, চুক্তি অনিশ্চিত।

‘জেলেনস্কি শান্তি চান কি না, তা নিয়েই সন্দেহ’

তার মতে, গত দশ দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ওভাল অফিসের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পথ তৈরি করেছিল। তিনি সরাসরি জেলেনস্কির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “এই পুরো বিষয়টিকে বিশৃঙ্খলায় পরিণত করার জন্য তারই ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

রুবিও আরও বলেন, “জেলেনস্কি আলোচনাকে এমন এক পথে নিয়ে গেছেন, যেখানে এমন পরিণতি প্রায় নিশ্চিত ছিল। আমাদের শেখানোর চেষ্টা করবেন না যে কূটনীতি ব্যর্থ হবে। বরং প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি আদৌ তিন বছর ধরে চলমান এ যুদ্ধের অবসান চান কি না? হয়তো তিনি সত্যিই শান্তি চুক্তি করতে চান না।”

ট্রাম্প-জেলেনস্কির সম্পর্ক কি স্বাভাবিক হবে?

সিএনএনের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রুবিও বলেন, “আমি মনে করি, কিছুই অসম্ভব নয়। তবে এটি অবশ্যই বোঝা দরকার যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পুরো প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছেন একটি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।”

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..