ইমপ্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা-২) প্রকল্পের অধীনে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের আওতায় নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেতরদের পুনরেকত্রীক করণ বিষয়ক এক কর্মশালা দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে গত ১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উর্মি রায় এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বদরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলীম উল্লাহ খান।
ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী অণিক আহমেদ অপুর সঞ্চলনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুস সাকিব, সিলেট মহিলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ আসিফ আজিজ, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন কর্মকতা আবুল হাসনাত, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাফর আহমেদ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মুন্তাকিম, মৎস্য কর্মকর্তা সুনন্দা রাণী মোদক, দক্ষিণ সুরমা প্রেসক্লাব সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুসিক, সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম ইমরান, সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমদ, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল হক, সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ সহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জন-প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিদেশ-ফেরত অভিবাসী ও অভিবাসী ফোরাম সদস্যবৃন্দ।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিলেট এমআরএসসি কো-অর্ডিনেটর শুভাশীষ দেবনাথ। তিনি সভায় উপস্থিত সবাইকে প্রত্যাশা-২ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, ‘বিদেশ-ফেরত বাংলাদেশিরা যাতে দেশে আসার পর সামাজিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য অনেকদিন ধরে ব্র্যাক কাজ করছে। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে ও বিদেশ-ফেরতদের পাশে দাঁড়াতে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ২০০৬ সাল থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৭ থেকে ২০২২ সময়কালে ব্র্যাক প্রত্যাশার প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন করে এখন দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করেছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বদরুল ইসলাম বলেন, বিদেশগামীদেরকে নিরাপদ অভিবাসনের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম। পাশাপাশি যারা বিদেশ থেকে প্রতারনার শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন তাদের অভিজ্ঞতা বিদেশগামীদেরকে জানালে সম্ভাব্য বিদেশগামীরাও বাস্তব চিত্র বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, জেনেশুনে বিদেশ গেলে কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আমাদের এলাকার লোকজন দালালের প্রলোভনে পড়ে কোন কিছু যাচাই-বাছাই না করেই বিদেশে চলে যান এবং সেখানে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। শেষে সব কিছু হারিয়ে খালি হাতে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন।’ এজন্য তিনি জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে আহবান জানান।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি রায় সভাপতি বক্তব্য বিদেশ-ফেরতদের টেকসই পুনরেকত্রীকরণ নিশ্চিতে প্রত্যাশা-২ প্রকল্পের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বিদেশগামীদের দক্ষতা অর্জনের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যারা কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যাচ্ছেন তাদেরকে অবশ্যই যে কাজ করতে যাচ্ছেন সেই কাজ আর সে দেশের ভাষা শিখে সঠিক পথে বিদেশে যেতে হবে। বিজ্ঞপ্তি